মোসাদ্দেকের বোলিং নৈপুণ্যে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সফরের শুরুতেই পরাজয় দেখে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাজে বোলিংয়ের কারণে ২০৬ রান তাড়ায় টাইগাররা হারে ১৭ রানে। রোববার হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হতো। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

এই অফ স্পিনারের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ৩১ রানে প্রথম সারির ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত সিকান্দার রাজার ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তুলতে সমর্থ হয়। বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম স্পেলেই ৪ ওভারে ২০ রানে জিম্বাবুয়ের প্রথম সারির ৫ উইকেট নেন মোসাদ্দেক।

মোসাদ্দেকের দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু বাংলাদেশের। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়ে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস। তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি আগের ম্যাচে ৮ বলে ৪ রানে ফেরা ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। এদিন তিনি ফেরেন ৮ বলে ৭ রান করে।

মুনিম আউট হওয়ার পর দাপুটে ব্যাটিং করে যাওয়া লিটন দাস নিজের ক্যারিয়ারের ৫৩তম টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়ে আউট হন। ৩৩ বলে ৬টি চার আর ২টি ছক্কায় ৫৬ রান করে ফেরেন লিটন। লিটন আউট হওয়ার মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ফেরেন এনামুল হক বিজয় (১৬)।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ১৫ বল আগেই দলকে ৭ উইকেটের জয় উপহার দেন আফিফ হোসেন। দলের জয়ে ২৮ বলে ৩০ আর ২১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ ও শান্ত।

এই জয়ের সুবাদে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার হারারের একই ভেন্যুতে সিরিজের অঘোষিত ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। সেই ম্যাচে যারা জিতবে সিরিজ তাদেরই হবে।